
ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে আগামীকাল (সোমবার) শুরু হচ্ছে জি-২০ দেশগুলোর পর্যটন সম্মেলন। চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত। এ উপলক্ষে সেখানে এরই মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না প্রতিবেশী দেশ চীন। গত শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে অনুষ্ঠিত কোনো বৈঠকে তারা অংশ নেবে না। খবর এনডিটিভি ও বিসিবিসর।
বিশ্বের ২০ বৃহৎ অর্থনীতির দেশ নিয়ে গঠিত জোট জি-২০। রোটেশন ভিত্তিতে চলতি বছর জোটটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছে ভারত। এর অংশ হিসেবে দেশটি বিভিন্ন জায়গায় বৈঠকের আয়োজন করছে। জোটের পর্যটনবিষয়ক বৈঠকের স্থান হিসেবে এবার কাশ্মীরকে বেছে নিয়েছে দেশটি। যদিও পাকিস্তান ও চীন শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিল। গত শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, কাশ্মীরে জি-২০-এর যে কোনো ধরনের বৈঠকের দৃঢ় বিরোধিতা করছে বেইজিং। এ ধরনের বৈঠকে আমরা অংশ নেব না। চীনের পাশাপাশি সৌদি আরব ও তুরস্কও কাশ্মীরের এই বৈঠকে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে। আসছে সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে হতে যাওয়া জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন সংশ্লিষ্ট সিরিজ বৈঠকের অংশ হিসেবে শ্রীনগরে হতে যাচ্ছে জি-২০-এর পর্যটনবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। তিন দিনের এ বৈঠকে বিভিন্ন দেশের ৬০ জনের মতো প্রতিনিধি অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তি হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। চীনের সঙ্গে স্বাভাবিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য সীমান্ত এলাকাগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুবই জরুরি। তবে ভারত তার সার্বভৌমত্ব আর মর্যাদা রক্ষায় সবসময় প্রস্তুত। জি-৭ সম্মেলনে অংশ নিতে গত শুক্রবার তিন দিনের সফরে তিনি জাপান যান। সেখানেই সাংবাদিকদের তিনি এসব বলেন।
উল্লেখ্য, হিমালয়ের কাছে অবস্থিত কাশ্মীরের অর্ধেক ভারত আর বাকি অর্ধেক রয়েছে পাকিস্তানের অধীনে। তবে দুই দেশই পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের অঞ্চল হিসেবে দাবি করে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান। এর মধ্যে দুটি ছিল কাশ্মীরকে নিয়ে।