যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে ঢুকে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা থামছে না। কিছুদিন পরপরই এ ধরনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অভিভাবকরা। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ন্যাশভিল শহরের একটি বেসরকারি স্কুলে এক বন্দুকধারীর হামলায় হতভম্ব হয়ে পড়েছে পুরো দেশ। স্কুলটিতে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে তিন শিশু শিক্ষার্থীসহ ছয়জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পরে পুলিশের গুলিতে অড্রে হেল নামে হামলাকারীও নিহত হয়; যাকে আগে কিশোরী বলা হলেও তার বয়স ২৮ বছর বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় দেশটির সব সরকারি ভবন ও দূতাবাসে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত মার্কিন পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর বিবিসির।
সোমবারের হামলায় গুরুতর আহত তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাদের মৃত্যু হয়। নিহত বাকি তিন ব্যক্তি স্কুলের কর্মী। তবে গুলিবিদ্ধ ছাড়া আর কারও আহত হওয়ার খবর জানায়নি পুলিশ। ন্যাশভিলের বেসরকারি ওই খ্রিষ্টান স্কুলে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে পুলিশ গুলি চালানোর প্রথম খবর পায়। ১৪ মিনিটের মাথায় পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারী নিহত হয়। ন্যাশভিল পুলিশের মুখপাত্র ডন অ্যারন জানান, পুলিশ স্কুলের তৃতীয় তলায় গুলির শব্দ শুনতে পায়। হামলাকারীর হাতে অন্ততপক্ষে দুটি সেমি অটোমেটিক রাইফেল ও হ্যান্ডগান ছিল। গুলির ঘটনার সম্ভাব্য কারণ এবং স্কুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক বা যোগসূত্রের বিষয়টি কিছু বলেনি। পুলিশ প্রথমে হামলাকারীকে নারী বললে পরে তাকে ট্রান্সজেন্ডার বলে উল্লেখ করে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মিসিসিপি শহরে এক বাড়িতে বন্দুকধারীর গুলিতে ছয়জন নিহত হওয়ার মধ্যে এ ঘটনা ঘটল। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, সোমবারের ঘটনায় আক্রমণকারীর কাছে ওই স্কুলের পুরো নকশা ছিল। হাতে আঁকা ওই নকশায় কোথা দিয়ে স্কুলে ঢোকা যায় তা দেখানো ছিল। ন্যাশভিলের পুলিশ প্রধান জন ড্রেক এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, হামলাকারীর একাধিক জায়গায় হামলার পরিকল্পনা ছিল। তার ফেলে যাওয়া নকশায় অনেক জায়গায় হামলার ইঙ্গিত মিলেছে। এর মধ্যে ছিল প্রাইমারি স্কুলটি। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই স্কুলে ২০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে গণবন্দুক হামলায় মৃত্যুর বিষয়টি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হলেও নারী হামলাকারীর বিষয়টি একেবারে অস্বাভাবিক।