
আগামী জুনের শুরুতে খেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাককার্থির মধ্যে ঋণ গ্রহণের সীমা-সংক্রান্ত বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হওয়ায় এ ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। ম্যাককার্থি অবশ্য বলেছেন, এ বিষয়ে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
জাপানে জি-৭-এর বৈঠক শেষে দেশে ফিরে সোমবার প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাককার্থির সঙ্গে সরকারের ঋণ গ্রহণের সীমা বাড়াতে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তবে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হয়। অবশ্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন দুপক্ষের মতপার্থক্যের জায়গাগুলো স্বীকার করে নিয়েই বলেছেন, সরকারের খেলাপি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আর নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন আবারও সতর্ক করে বলেছেন, কংগ্রেস ঋণসীমা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হতে না পারলে জুনের শুরুতেই খেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখ্য, সরকার তার খরচ চালাতে কত অর্থ ধার করতে পারবে, তার একটি সীমা ঠিক করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস। এটাকেই বলে ঋণসীমা।
বর্তমানে এই সীমা ৩১.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের মতো। কিন্তু এবার খরচ চালাতে আরও অর্থ দরকার হয়ে পড়েছে সরকারের, আর সেজন্যই ঋণসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব তুলেছে বর্তমান ডেমোক্র্যাট প্রশাসন। কিন্তু প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় তাদের সমর্থন ছাড়া ঋণসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব পাস করানো সম্ভব নয়। জুন শুরুর আগেই ওই সীমা বাড়াতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নতুন করে আর কোনো ঋণ নিতে পারবে না, ফলে কোনো বিলও শোধ করতে পারবে না। আটকে যাবে অনেকের বেতন, বিঘ্নিত হবে নাগরিক সেবা। পরিস্থিতি সেরকম হলে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, সেটা বিশ্ব অর্থনীতির জন্যও হুমকি তৈরি করবে। অনেক দেশে পণ্যমূল্য বেড়ে যাবে, সেইসঙ্গে বেড়ে যাবে সুদের হার।
সেই বিপর্যয় এড়াতেই জি-৭ সম্মেলন উপলক্ষে জাপান সফর সংক্ষিপ্ত করে আগেভাগে দেশে ফিরে হাউস স্পিকার ম্যাককার্থির সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।