
জনগণের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর পেনশন সংস্কার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সিনেট। স্থানীয় সময় গত শনিবার সিনেটররা এই পরিকল্পনা অনুমোদনে ভোট দেন। সিনেটে ১৯৫ ভোটে এটি পাস হয়। তবে পরিকল্পনাটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
এই পরিকল্পনার মূল বিষয় হলো—ফ্রান্স সরকারের পরিকল্পনায় অবসরের বয়সসীমা ৬২ থেকে ৬৪ করা হয়েছে। এ ছাড়া পেনশনের পুরো টাকা পেতে হলে অন্তত ৪৩ বছর চাকরি করতে হবে। সিনেটে অনুমোদন পাওয়ায় এ সংস্কার পরিকল্পনাকে আইনে পরিণত করার সুযোগ আরও একধাপ এগিয়ে গেল। ভোটাভুটির পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন টুইটারে বলেন, কয়েকশ ঘণ্টার আলোচনা শেষে সিনেট পেনশন সংস্কার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতে আমাদের পেনশন ব্যবস্থা নিশ্চিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
তিনি আরও বলেন, এসব লিখিত বিষয় ভবিষ্যতে গৃহীত হবে, বিষয়টি নিশ্চিতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখন সিনেট বিলটি গ্রহণ করেছে। আগামী বুধবার নাগাদ উচ্চ ও নিম্নকক্ষের যৌথ কমিটি এর পর্যালোচনা করবে।
কমিটি লিখিত বিষয়ের সঙ্গে সম্মত হলে বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিষদের উভয়কক্ষে ভোট হবে। এখানে মাখোঁর দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য মিত্রদের ভোট প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ধরেই ইউনিয়নগুলো এই সংস্কার পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করছে। তারা ভেবেছিল, চাপ দিয়ে মাখোঁকে এই পরিকল্পনা থেকে হটানো যাবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শনিবার বিভিন্ন শহরে ৩ লাখ ৬৮ হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। দিনে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও সন্ধ্যায় উত্তেজনা বেড়ে যায়। পুলিশ জানায়, বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্দেশে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে। এ সময় ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।