
কানাডা ও সৌদি আরব পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে এবং নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিতে সম্মত হয়েছে। বুধবার দেওয়া বিবৃতিতে উভয় দেশই এ কথা জানিয়েছে। এর মাধ্যমে ২০১৮ সালে দুদেশের মধ্যে শুরু হওয়া বিরোধের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। খবর রয়টার্সের।
গত বছরের নভেম্বরে ব্যাংককে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (এপেক) শীর্ষ সম্মেলন চলাকালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে হওয়া আলোচনার ধারাবাহিকতায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উভয় দেশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সাধারণ স্বার্থের ভিত্তিতে দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সিদ্ধান্তটি এসেছে।’ ২০১৮ সালে সৌদি আরব দুজন নারীঅধিকার কর্মীকে আটক করলে তাদের দ্রুত মুক্তির আহ্বান জানিয়ে রিয়াদের কানাডা দূতাবাস আরবি ভাষায় একটি টুইট করেছিল। এ নিয়ে রিয়াদ ও অটোয়ার বিরোধ শুরু হয়। পরে একই বছরের অক্টোবরে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হলে কানাডাসহ পশ্চিমা দেশগুলো এর নিন্দা করে। এর জেরে রিয়াদ কানাডা থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে এবং নতুন বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কানাডার এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, বাণিজ্যের ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক পদক্ষেপও প্রত্যাহার করা হবে। বিরোধের কারণে দুদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে কী পরিমাণ ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছিল, তা পরিষ্কার নয়। ২০২১ সালে মধ্যপ্রাচ্যে কানাডার সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার ছিল সৌদি আরব। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ওই বছর দেশটিতে মোট ১৬৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল কানাডা, যার ৮০ শতাংশেরও বেশি ছিল পরিবহন সরঞ্জাম। এর বিপরীতে কানাডা সৌদি আরব থেকে ২৪০ কোটি ডলারের তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য আমদানি করেছিল।