
চিনির কেজি ১২০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এরপরও বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাবে নতুন দাম এখন কার্যকর করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুই দফায় রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য প্রায় ৮৩ টাকা কেজি দরে ২৫ হাজার টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। গতকাল বুধবার সাড়ে ১২ হাজার টন পরিশোধিত চিনি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
আগের সভায় সাড়ে ১২ হাজার টন কেনার প্রস্তাব অনুমোদন হয়। সভা শেষে বিষয়টি জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান কালবেলাকে বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে সরকার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতি মাসে একবার ভর্তুকিমূল্যে নিত্যপণ্য সরবরাহ করছে। কার্যক্রম চালাতে স্থানীয় বাজার থেকে চিনি কিনলে ভর্তুকি অনেক বেশি দিতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সংগ্রহ করতে পারলে তা অনেক কমে আসবে। এতে টিসিবির কার্যক্রম পরিচালনা আরও সহজ হবে।
সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার কোম্পানি অ্যাসেনচুয়েট টেকনোলজির কাছ থেকে টিসিবির জন্য ১২ হাজার ৫০০ টন পরিশোধিত চিনি কিনবে সরকার। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এই চিনি কেনা হবে। প্রতি কেজির দাম পড়বে ৮২ টাকা ৮৫ পয়সা। মোট ব্যয় হবে ৬৬ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকা। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বলেছেন, যেসব দেশ বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে তাদের পণ্য কেনা হবে না। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি থেকে চিনি কেনার সিদ্ধান্ত বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়নি।