
চলতি অর্থবছর শেষ কর্মদিবস আগামী ৩০ জুন। তবে এবার চলতি অর্থবছরের সরকারি কর্মকাণ্ডে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় অর্থ ব্যয় সম্পর্কিত সব ধরনের বিল দাখিল এবং তা নিষ্পত্তি করতে আগামী ১২-২৫ জুন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সরকার। এই সময়ের মধ্যে খাত-সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে দাবিকৃত বিল জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে অপর পক্ষকে তা আমলে নিয়ে নিষ্পত্তি করতে হবে।
এবার শেষ তিন কর্মদিবস (২৮ থেকে ৩০ জুন) সময়টি পবিত্র ঈদুল আজহার সময়ের কাছাকাছি হওয়ায় ওই সময় সরকারি অফিস বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ছুটির আগেই সব ধরনের অর্থ অবমুক্তি বা দাবি নিষ্পত্তির সব কার্যক্রম সেরে রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
গত সোমবার অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু দাইয়ান মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত নির্দেশনাটি মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় অর্থ অবমুক্তির (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১২ জুন। পরিচালন ও উন্নয়ন উভয় খাতে নতুন ব্যয় বিল দাখিলের সর্বশেষ তারিখ ১৪ জুন। উভয় খাতে ফেরত বিল দাখিলের সর্বশেষ তারিখ হলো ২০ জুন। উভয় বাজেটের আওতায় বিল নিষ্পত্তি ও চেক ইস্যুর সর্বশেষ তারিখ ২৫ জুন। এ ছাড়া যেসব ক্ষেত্রে চলতি বছরের ২৭ জুনের মধ্যে আমদানি ও মূল্য পরিশোধের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে না, সেক্ষেত্রে অসুবিধার কারণ চলতি অর্থবছরে স্থাপিত এলসির বিপরীতে আগামী অর্থবছরে পরিশোধযোগ্য অর্থের পরিমাণ প্রভৃতি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে ২০ জুনের মধ্যে। অন্যদিকে বাজেট বরাদ্দের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক কোনো আমদানি এলসি স্থাপন কিংবা নিষ্পত্তি করার সর্বশেষ তারিখ বেঁধে দেওয়া হয়েছে ২৫ জুন।
অর্থবিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, অর্থবছরের শেষে ব্যয় বিল দাখিল, বিল নিষ্পত্তি ও চেক ইস্যুর ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখা প্রয়োজন। কিন্তু শেষ তিন দিন সরকারি ছুটির সম্ভাবনা থাকায় তার ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়তে পারে। খাত-সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সুবিধার্থে সেটি এড়াতেই এই নির্দেশনা।