সক্ষমতা জানান দিতে বিজনেস সামিট

এফবিসিসিআই লোগো
এফবিসিসিআই লোগো

বাংলাদেশের সক্ষমতা জানান দিতে দেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক বিজনেট সামিট আয়োজন করছে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। সেইসঙ্গে এই আয়োজনে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা করা হবে।

আগামীকাল শনিবার বিজনেস সামিট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে প্রতিনিধি দল নিয়ে অংশ নেবেন যুক্তরাজ্য, সৌদি আরবসহ বিশ্বের আট দেশের মন্ত্রীরা। আগামী ১১ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সামিট চলবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআইর বোর্ডরুমে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইর সভাপতি জসিম উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহসভাপতি সালাউদ্দিন আলমগীর, এম এ মোমেন, আমীন হেলালী, হাবিবুল্লাহ ডন এবং এম এ রাজ্জাক খান রাজ প্রমুখ। এফবিসিসিআইর ৫০ বছরপূর্তি উদযাপনে এই সামিট আয়োজন করছে বর্তমান পর্ষদ।

সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন জানান, সামিটে অংশ নিতে দেশি-বিদেশিসহ মোট ৭৫৫ জন আবেদন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশিদের রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা ২০০। সৌদি আরব, যুক্তরাজ্যসহ আট দেশের মন্ত্রীরা প্রতিনিধি দল নিয়ে সামিটে আসছেন। দেশের ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুযোগ-সুবিধা সামিটে তুলে ধরা হবে। এতে ১৫টি করে ব্যবসায়ী সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে। তারা তাদের খাতে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে আরও ত্বরান্বিত করতে ফ্ল্যাগশিপ বিজনেস ইভেন্ট হিসেবে কাজ করবে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তি ও সামর্থ্য, বাজার সম্ভাবনা এবং উদীয়মান খাতগুলোকে তুলে ধরা হবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।

জসিম উদ্দিন বলেন, বিজনেস সামিট শুধু এফবিসিসিআইর আয়োজন নয়, দেশের সবাই এর অংশীদার। সবার, বিশেষ করে গণমাধ্যমের সহযোগিতা ছাড়া এত বড় আয়োজন সফল করা সম্ভব নয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রেখেছে এমন ১০ ব্যক্তিকে ১০টি ক্যাটাগরিতে বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে সামিটে। এ ছাড়া দেশের সেরা পণ্যগুলোকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে সামিটের অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৩’।

এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা, বাধা এবং উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশ্লেষক এবং নীতিনির্ধারকদের নিয়ে তিনটি প্ল্যানারি সেশন, ১৩টি প্যারালাল সেশন, উন্মুক্ত আলোচনা, বিটুবি, নেটওয়ার্কিং সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সিএনএনের জনপ্রিয় বিজনেস রিপোর্টার রিচার্ড কোয়েস্ট বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে একটি সেশনে মডারেটর হিসেবে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীর একটি লাইভ সাক্ষাৎকারও থাকবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ নিয়ে কয়েক মাস প্রচার চালাবে সিএনএন।

ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক এবং ইইউর ট্রেড কমিশনারকেও আনার চেষ্টা চলছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপোর মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে তুলে ধরা হবে। এই এক্সপোতে টেক্সটাইল, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবার, চামড়া, সিরামিক, পাট, হস্তশিল্পসহ সম্ভাবনাময় খাতগুলোর পণ্য এবং পরিষেবা প্রদর্শিত হবে। বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রচার, বাংলাদেশি পণ্য ও পরিষেবার প্রচার, এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর জন্য ব্যবসার সুযোগ তৈরিতে বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপো ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com