কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৩, ১০:২৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

জাল নথিতে পাঁচ দেশে ২১ কোটি টাকা পাচার

জাল নথিতে পাঁচ দেশে ২১ কোটি টাকা পাচার

জাল নথিপত্র তৈরি করে রপ্তানির আড়ালে ৮৬টি চালানের বিপরীতে ২১ কোটি টাকা বিদেশে পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে সাবিহা সাইকি ফ্যাশনের মালিক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, বেবি ড্রেস, জিন্স প্যান্ট, শার্ট, লেগিন্স, শালসহ বিভিন্ন পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব sও নাইজেরিয়ায় রপ্তানি চালান দেখানো হয়েছে। এ অভিযোগে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহ মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।

শুল্ক গোয়েন্দার এই মহাপরিচালক বলেন, সাবিহা সাইকি ফ্যাশন মোট ৮৬টি পণ্য চালানের বিপরীতে ৯৯৭ টন মেনস ট্রাউজার, টি-শার্ট, বেবি সেট, ব্যাগ, পোলো শার্ট, জ্যাকেট, প্যান্ট ও হুডি রপ্তানি করে। যার বিনিময় মূল্য ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৭ মার্কিন ডলার বা ২১ কোটি টাকা। ওই টাকা দেশে আসার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে মামলা করা হয়েছে। তদন্তে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এরূপ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও পর্যায়ক্রমে অভিযান চলবে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের বন্দর থানায় গত ২৪ মার্চ মামলাটি এজাহারভুক্ত করা হয়। গত ৩১ জানুয়ারি শুল্ক গোয়েন্দার অভিযানে অর্থ পাচারের এমন কৌশলের বিষয়টি সামনে আসে। এই মামলার আসামিরা হলেন সাবিহা সাইকি ফ্যাশনের মালিক মো. শাকিল, লাইমেক্স লিপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সরফরাজ কাদের, ওই প্রতিষ্ঠানের কাস্টমস সরকার মো. ওবায়দুর রহমান ও তরুণ কান্তি দে, চট্টগ্রামের হালিশহরের বাসিন্দা সাদাব মকবুল ও অজ্ঞাতপরিচয় একজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি শুল্ক গোয়েন্দার একটি টিম চট্টগ্রাম নগরের উত্তর পতেঙ্গা কাটগড় এলাকায় সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড (ওসিএল) ডিপোতে অভিযান চালায়। অভিযানে জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ১৫টি বিল অব এক্সপোর্টের রপ্তানি কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হয়। এরপর এসব বিল অব এক্সপোর্টের রপ্তানি সংক্রান্ত দলিলাদি যাচাই করার জন্য অগ্রণী ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক জানায়, সাবিহা সাইকি ফ্যাশন তাদের কোনো গ্রাহক নয়। বিল অব এক্সপোর্টগুলো অন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যু করা হয়েছিল। এতে প্রমাণিত হয়, জাল দলিলের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে ও হচ্ছিল। তাই পণ্য চালানগুলোর বিপরীতে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা বৈধ পন্থায় দেশে আসার সুযোগ নেই বিধায় এ ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং সংঘটিত হয়। চালানগুলোতে টি-শার্ট ও লেডিস ড্রেস রপ্তানির কথা থাকলেও পরীক্ষায় বেবি ড্রেস, জিন্স প্যান্ট, শার্ট, লেগিন্স, শালসহ ঘোষণা ছাড়াও বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এই রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ৯৪টি চালানের সন্ধান পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৮৭টি চালানে ৯৯৭ টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্কুটারে বসেই অফিস করছেন তিনি, ভিডিও ভাইরাল

মোস্তাফিজদের ম্যাচ দেখায় নতুন রেকর্ড

এখনো যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে ফিলিস্তিনিরা

‘বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে জিয়াউর রহমানও লজ্জা পেয়ে যেতেন’

কুমিল্লায় গত ১১ মাসে শতাধিক মামলায় গ্রেপ্তার ৪৬৭

বৃষ্টি হলেই সড়ক হয়ে যায় পুকুর, জনদুর্ভোগ চরমে

ব্রিটিশ গণমাধ্যমের তালিকা / পেলে-ম্যারাডোনা নয় সর্বকালের সেরা মেসি

আইপিইউ সম্মেলন শেষে দেশে ফিরলেন স্পিকার

৫ হাজার মূল্যের বাতি ২৭০০০ টাকায় কিনেছে রেল!

মেট্রোরেলের ওপর দিয়ে যাওয়া ইন্টারনেট-ডিসের তার অপসারণের নির্দেশ

১০

২০০ বছরের পুরোনো ‘গায়েবি’ মসজিদের গুপ্ত তথ্য

১১

বিএনপির নেগেটিভ রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে : ওবায়দুল কাদের

১২

জজশিপের কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে দুদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১৩

সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৩৬ সেনা

১৪

জাভির পর কে হবেন বার্সা কোচ!

১৫

১ ঘণ্টায় শেষ রেলের ১৪ হাজার টিকিট

১৬

বিজিএপিএমইএর নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা

১৭

গুগলে ৪ বিষয়ে এড়িয়ে না গেলে বিপদ

১৮

নাটোরে স্কুলছাত্রের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, ৪ বন্ধু আটক

১৯

নওগাঁয় সাড়া ফেলেছে নতুন জাতের মুরগি ‘বাউ চিকেন’

২০
*/ ?>
X