কয়েক বছর ধরে বোরো মৌসুমে মাছের ঘেরে ধান চাষে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে সাতক্ষীরায়। ফলে মাছের ঘেরে ধান ও সবজির সমন্বিত চাষের মাধ্যমে প্রান্তিক চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।
সাতক্ষীরা জেলাসহ ৭ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় নিচু জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে সাদা মাছের ঘের। বর্ষায় সেই ঘেরে সাদা মাছ চাষ হয়। নভেম্বর-ডিসেম্বরে মাছ উঠিয়ে ঘেরে করা হচ্ছে বোরোর আবাদ। মাছের ঘেরে ধানের ফলন হয় অন্য জমির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। কৃষকরা বলছেন, মাছের ঘেরে ধান লাগাতে বাড়তি কোনো ব্যয় নেই। তাই খরচ অনেকটাই কম। অন্যদিকে মাছের তুলনায় ধানের দাম বেশি। চলতি মৌসুমে মাছের পরিবর্তে বোরো চাষে বেশি ঝুঁকেছেন মাছচাষিরা।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (খামারবাড়ি) সূত্র জানায়, জেলায় এবার ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে তালা উপজেলা সদরের ৩০০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে ট্রেতে বীজ বপন ও মেশিনে পাতা রোপণের মাধ্যমে হাইব্রিড তেজগোল্ড জাতের ধান চাষ হচ্ছে।
জেলার কৃষি কর্মকর্তারা জানান, ফলন বাড়াতে সমলয় পদ্ধতিতে যন্ত্রের মাধ্যমে বোরো আবাদ শুরু হয়েছে সাতক্ষীরায়। সদর উপজেলার ঝাউডাঙা ইউনিয়নের মাধবকাটি বলাডাঙা বিলে সম্প্রতি এ আবাদ কার্যক্রম শুরু করা হয়। নতুন এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নূরুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে বেশি জমিতে বোরোর আবাদ হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি উপজেলায় জলবায়ুর ঝুঁকি মানচিত্র তৈরি করে কৃষি, খাদ্য, অবকাঠামোসহ সব বিষয় নিয়ে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মৎস্য ঘেরে বোরোর আবাদে উৎপাদনে কৃষি খামার বাড়ি কাজ করছে।