বাইডেনের আশ্বাসেও বিশ্বজুড়ে ব্যাংকের শেয়ারে দরপতন

বাইডেনের আশ্বাসেও বিশ্বজুড়ে ব্যাংকের শেয়ারে দরপতন

আমেরিকার অর্থব্যবস্থা নিরাপদ—প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এ আশ্বাসের পরও বিশ্বজুড়ে ব্যাংকের শেয়ারের দরপতন হয়েছে। তিন দিনের ব্যবধানে দুই ব্যাংক বন্ধ হওয়ার পর এর প্রভাব পড়েছে এশিয়া ও ইউরোপের পুঁজিবাজারে লেনদেন হওয়া ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অর্থ সংকটে শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি) বন্ধ ঘোষণা করে এর নিয়ন্ত্রণ নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স করপোরেশন (এফডিআইসি)। এর দুদিনের মাথায় বন্ধ ঘোষণা করা হয় নিউইয়র্কের সিগনেচার ব্যাংক। এ পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের আতঙ্ক দূর করতে গত সোমবার বক্তব্য দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থা সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই নেওয়া হবে; কিন্তু বাইডেনের এ আশ্বাসে আশ্বস্ত হতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। অন্য ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান নিয়েও শঙ্কিত তারা। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোর। গত সোমবার ব্যাংকগুলোর বাজার মূলধন কমেছে ৯ হাজার কোটি ডলার। এ নিয়ে গত চার দিনে বাজার মূলধন হ্রাসের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯০ বিলিয়ন বা ১৯ হাজার কোটি ডলার।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে আঞ্চলিক ব্যাংকগুলো। ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকের শেয়ারদর ৬০ শতাংশের বেশি কমেছে। ব্যাংকটিতে নতুন বিনিয়োগ আসার খবরেও আশ্বস্ত হতে পারেনি বিনিয়োগকারীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোর শেয়ারে ধস নেমেছে।

জাপানের টপিক্স ব্যাংকের শেয়ার সূচক কমেছে ৭ শতাংশেরও বেশি। এর মধ্য দিয়ে তিন বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে একটি সবচেয়ে খারাপ দিন পার করল প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া সম্পদের দিক দিয়ে জাপানের শীর্ষ ঋণদাতা মিতসুবিশি ইউএফজে ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপের শেয়ারের দরপতন হয়েছে ৮ দশমিক ১ শতাংশ। সোমবার স্পেনের সানটানডার ও জার্মানির কমার্জ ব্যাংকের শেয়ারদর একপর্যায়ে ১০ শতাংশের বেশি কমে যায়।

অর্থব্যবস্থার যে কোনো সংকট উত্তরণে বাজারে যথেষ্ট তারল্য রয়েছে বলে মার্কিন সরকার গ্রাহকদের আশ্বাস দিলেও ইউরোপের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ছোট ব্যাংকগুলোই ক্ষতির সম্মুখীন হয় বেশি।

এ পরিস্থিতিতে ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com