
আসছে রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২৮ ধরনের খাদ্য পণ্যে শুল্ক-কর কমানের প্রস্তাব দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। তবে কোন পণ্যে কতটুকু শুল্ক-কর কমানো যাবে বা কমাবে, তা এনবিআরকেই নির্ধারণ করারও সুপারিশ করেছে এ সংস্থাটি।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে এমন প্রস্তাব রাখে সিপিডি। এদিন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, এসএমই ফাউন্ডেশন, স্নেহাশিস মাহমুদ অ্যান্ড কোম্পানি, বিআইডিএস, পিডাব্লিউসি ও আরনেস্ট অ্যান্ড ইয়ং অ্যাডভাইসরি লিমিটেড বাংলাদেশের কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাজেট প্রস্তাবনা দেন।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে শুল্ক বিভাগের সদস্য মো. মাসুদ সাদেক, ভ্যাট নীতির সদস্য জাকিয়া সুলতানা ও আয়কর নীতির সদস্য সামস উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সিপিডির শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের হিমায়িত পশুর মাংস (গরু, মহিষ, ভেড়া ইত্যাদি), মুরগি, মাছ (রুই, কাতলা, পাঙাশ, কার্প ইত্যাদি), ইলিশ, বিভিন্ন ধরনের দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন, খেজুর, দারুচিনি, গোলমরিচ (পিপার), ধনিয়া, আদা, হলুদ, ভুট্টা, চাল, পাম অয়েল ও লবণ।
সিপিডির রিসার্চ ফেলো মুনতাসীর কামাল অফশোর ট্যাক্স অ্যামনেস্টিসহ কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করার প্রস্তাবও দেন। এ ছাড়া ব্যক্তি করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে সংরক্ষণমূলক নীতির বিপক্ষে অবস্থান তুলে ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমিতি (বিইএ)। সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া লিখিত প্রস্তাবে বলা হয়, ধনী দেশের যারা এসব প্রস্তাব দিচ্ছেন, তারা সব ধরনের সংরক্ষণমূলক নীতি অবলম্বন করেই ধনী হয়েছেন। তবে ধনী হওয়ার পর ওপরে ওঠার মই লাথি মেরে সরিয়ে মুক্তবাজারে আমাদের খেলতে বলছেন, যা দ্বিচারিতা।