শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তবর্তী নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও ভুটান থেকে ১৯ পণ্য আমদানির অনুমতি থাকলেও আসছে মাত্র একটি। এই একটি পণ্য হলো পাথর। আগে মাঝেমধ্যে ভুটান থেকে কয়লা এলেও এখন একেবারেই বন্ধ। ফলে স্থবির হয়ে পড়ছে জেলার একমাত্র স্থলবন্দরটি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বন্দর দিয়ে আমদানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে—পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, বলক্লে, কোয়ার্টজ, চায়না ক্লে, গবাদিপশু, কাঠ, চুনাপাথর, পেঁয়াজ, মাছের পোনা, তাজা ফল, গাছগাছরা, বীজ, গম, মরিচ, রসুন ও আদা। বন্দরে শ্রমিক ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৮০০। এ ছাড়া দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে কাজ করেন আরও প্রায় হাজার শ্রমিক।
আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, আমরা অন্যান্য পণ্য আনতে বারবার তাগাদা দিয়েছি; কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সহজে আমদানিযোগ্য পণ্য আমদানির অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে না। বিশেষ করে বন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে আসামের জাগির রোডে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শুঁটকির বাজার। দেশে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও শুঁটকি আমদানি করা যাচ্ছে না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে বারবার আবেদন করেও কোনো ফল হচ্ছে না।