
দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এর মাধ্যমে নান্দনিক সড়কবাতি, ফুটপাতের কাজ, পাবলিক টয়লেট, টাউনশিপসহ কক্সবাজার সদর ও কয়েকটি উপজেলাকে ঢেলে সাজানো হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৭২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এই প্রকল্পে ২ হাজার ৪৯৭ কোটি ৫ লাখ টাকা ঋণ দেবে জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)। গত রোববার একনেক বৈঠকে এ প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো—অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বৈষম্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পে সরকারি অর্থায়নের পরিমাণ ধরা হয়েছে ১ হাজার ২২৭ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা, বাকি ২ হাজার ৪৯৭ কোটি ৫ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে দেবে জাইকা। জুন, ২০২৮ সাল নাগাদ কক্সবাজার জেলার সদর, মহেশখালী, চকরিয়া, টেকনাফ এবং উখিয়া উপজেলা ও পৌরসভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ৯৬ দশমিক ১০ কিলোমিটার সড়ক, ১ হাজার ৩৫ মিটার ব্রিজ/বক্স কালভার্ট, ১৭ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার খাল/ক্যানেল উন্নয়ন (পানি নিষ্কাশন ও বন্যা প্রতিরোধ অবকাঠামো), ১৯৬ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার সড়কের পাশে ড্রেনের কাজ করা হবে।
১৯২ দশমিক ২০ কিলোমিটার সড়কের পাশে ফুটপাত, ১৪ লাখ ৪৪ হাজার ৯০১ ঘনমিটার মাটির কাজ, সড়কের নিরাপত্তাবিষয়ক কার্যাদি, ২ হাজার ৯৭০ মিটার ঢাল সুরক্ষা, ৩টি বহুমুখী বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, ৯টি বাজার, ১টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (মার্কেট), ৯টি গণশৌচাগার এবং ৪টি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া ২ হাজার ৪০৯টি সড়কবাতি, পানি সরবরাহ, ২টি পার্ক ও ৩টি টাউনশিপ ও ১০৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ/ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, প্রকল্পটির মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করে জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বৈষম্য দূর করা সম্ভব হবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন কৌশল অবকাঠামো উন্নয়নে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ নিশ্চিতকরণ করা হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনকে নগর উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।