
সাত মাস পর গতকাল বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তবে মূল্যসূচক কমেছে। এর আগে গত বছরের ২ থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত টানা সাত দিন হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয় ডিএসইতে। এর মধ্যে কয়েকবার এর কাছাকাছি পৌঁছলেও শেষ পর্যন্ত চার অঙ্কের ঘর পার হতে পারেনি।
বাজার সংশ্লিষ্টদের ধারণা, আগামীতে পুঁজিবাজার আরও ভালোর দিকে থাকবে। গতকাল ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ১ হাজার ১০৯ কোটি ৯৩ লাখ ৭৯ হাজার টাকা, যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ। এর আগে ১০ নভেম্বর ১ হাজার ১৮ কোটি ৮৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছিল।
সম্প্রতি পুঁজিবাজারবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, সূচক ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। আরও ভালো লেনদেন হলে শিগগির ইনডেক্স মুভারসহ অন্যান্য কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস থেকে বের হয়ে আসবে। এর জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ডিএসইতে লেনদেন বাড়লেও মঙ্গলবারের তুলনায় সূচক কিছু পয়েন্ট হারিয়েছে। এদিন মোট ৩৬৭ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়। এর মধ্যে লেনদেনে অংশগ্রহণ করলেও দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি ১৯৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। দাম বেড়েছে ৭৪ এবং কমেছে ৯৯টির।
ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স শূন্য দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩০৫ পয়েন্ট হয়েছে। এ ছাড়া ডিএসইএস এক ও ডিএসই-৩০ সূচক শূন্য দশমিক ৭৩ পয়েন্ট কমেছে।
ডিএসইর লেনদেনে উত্থানের দিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ১৩ পয়েন্ট বাড়লেও লেনদেন কমেছে। লেনদেনে ২৪২ প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে ৭৫টির দাম বেড়েছে, কমেছে ৫৭টির। অপরিবর্তিত ছিল ১১০টির শেয়ার ও ইউনিটের দাম। এতে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা।