বাংলাদেশে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকসের একটা শিল্প গড়ে উঠেছে। এখানে একটি উচ্চমাত্রার শুল্ক ধার্য করা আছে। ২৬ সালের পরে এই শুল্ক কমিয়ে ডব্লিউটিওর আইন অনুযায়ী করতে হবে। আর তা না হলে আমাদের নামে ডব্লিউটিও মামলা করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
‘লিভারেজিং গ্রোয়িং মিডল অ্যান্ড এফুলেন্ট ক্লাস ফর আ ভাইব্রেন্ট কনজুমার গুডস সেক্টর’ শীর্ষক সেমিনারের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩’ শীর্ষক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের এমডি রূপালী চৌধুরী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন তুরস্ক বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেদায়েত অনুর উযদেন, ম্যারিকো বাংলাদেশের এমডি রজত দিবাকর, সিঙ্গার বাংলাদেশের এমডি, সিইও এম এইচ এম ফাইরুজ প্রমুখ।
বিজনেস সামিটের এই সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সরকারের সঙ্গে কোলাবোরেশন করে দেশের বেসরকারি খাতকে নতুন নতুন পণ্য আনতে হবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) অলরেডি ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছে। ডিসিপ্লিনে এসেছে ই-কমার্স খাত। ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগে কাজ করছে দেশ। এ বিনিয়োগে আমাদের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করছে এফবিসিসিআই।
এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে খাদ্যের সনদ নিতে গেলে ১৭টি কর্তৃপক্ষের পারমিশন বা সনদ নেওয়া লাগে, যা অনেক কষ্টকর, আর এটি আমিও মনে করি; কিন্তু খাদ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হওয়ায় এখানে অনেক বেশি সতর্ক থাকা জরুরি।
ইউনিলিভার বাংলাদেশের এমডি ও সিইও জাবেদ আখতার বলেন, আমরা শুধু আরবানে ফোকাস করে আছি; কিন্তু ৬০ শতাংশ মানুষ রুরালে আছে, সেটি আমরা ফোকাস করি না। এমসিসিআই সভাপতি মো. সায়ফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এমন পণ্য তৈরি করতে হবে, যেন অন্যান্য দেশ এসব পণ্য খোঁজে এবং সেগুলো ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ হয়।
বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন সোসাইটির চেয়ারম্যান নকিব খান বলেন, ফুড সাপ্লাই চেইন অনেক গুরুত্বপূর্ণ, ফার্মাররা তাদের ন্যায্য দাম পায় না। ফুড সেফটিও অনেক জরুরি। এখানে আমাদের অনেক ফোকাস করতে হবে।
অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের এমডি নাসিম মনজুর বলেন, গবেষণায় কোনো ট্যাক্স ইনসেনটিভ নেই। তাই এটিই উপযুক্ত সময়। আরও বেশি গবেষণার মাধ্যমে আমরা খাতগুলোকে এগিয়ে নিতে পারি।
