বাংলাদেশের সব বন্দরের সুবিধা পাবে ভুটান

মোংলা বন্দর।
মোংলা বন্দর।ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রাফিক ইন ট্রানজিট অ্যান্ড প্রটোকল-সংক্রান্ত একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এতে বাংলাদেশের সড়ক ও বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন করতে পারবে প্রতিবেশী দেশ ভুটান। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ার পাশাপাশি বন্ধুত্ব আরও জোরদার হবে বলে আশা করছে সরকার।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ভুটান একটি ল্যান্ড লক কান্ট্রি। আমদানি-রপ্তানিতে দেশটির নিজস্ব কোনো নদী বা সমুদ্রবন্দর নেই। সে ক্ষেত্রে তারা ভারতের কাছ থেকেও একই ধরনের সুবিধা নিয়ে থাকে। এখন বাংলাদেশের বন্দর ও সড়ক ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানি পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছে তারা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এর আওতায় ভুটান বাংলাদেশের ভূখণ্ড আমদানি-রপ্তানির প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে। বন্দরও ব্যবহার করতে পারবে। এ চুক্তি অনুমোদনের পর এখন বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে যাবে। এ জন্য তারা কী পরিমাণে বা কী হারে রাজস্ব দেবে সেটি এনবিআর ঠিক করবে। সবকিছু শেষে চূড়ান্ত একটি চুক্তি হবে।

কর্মচারী আত্তীকরণ আইন, ২০২৩ : সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, স্বশাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত কর্মচারীদের আত্তীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, স্বশাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত কর্মচারী আত্তীকরণ আইন-২০২৩-এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আইনটি প্রণয়ন করেছে। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ তথ্য জানান।

সূত্র জানায়, কোনো পরীক্ষা ছাড়াই সর্বশেষ পদের সমপদে এবং একই বেতন স্কেলে উদ্বৃত্ত কর্মচারীকে আত্তীকরণ করা যাবে। ফলে নতুন আইনটি পাস হলে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের আত্তীকরণের সুযোগ তৈরি হবে। পাটকলে প্রায় ৩ হাজার উদ্বৃত্ত কর্মচারী রয়েছে। মূলত তাদেরই আত্তীকরণের উদ্দেশে আইন হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com