
এরই মধ্যে মার্কেটিং ও লেখালেখির দুনিয়ায় ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটিয়েছে ওপেনএআই কোম্পানির তৈরি সুবিশাল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটজিপিটি। মাঝেমধ্যে ভুলটুল করলেও কিছু কিছু কাজে কিন্তু চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায় চ্যাটজিপিটির ওপর।
অফিসের কিছু রুটিনমাফিক কাজে এখন ঢের সময় বাঁচিয়ে দিচ্ছে চ্যাটজিপিটি। বিশেষ করে মিটিংয়ের শিডিউল করা, ইভেন্ট রিমাইন্ডার তৈরি করা, ইনবক্স ব্যবস্থাপনা, দাপ্তরিক ই-মেইল লেখা, হ্যাশট্যাগসহ অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট লেখায় এটি কাজে আসছে। এ ধরনের কনটেন্ট তৈরির পর সেখানে টুকটাক সংযোজন-বিয়োজন করে নিলেই হলো।
কোডারদের ঢের সময় বাঁচিয়ে দিচ্ছে চ্যাটজিপিটি। সি++, পাইথন, জাভায় প্রয়োজনীয় কোড তো লিখেই দিচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রোগ্রামারদের লেখা কোডে ভুল আছে কি না সেটাও যাচাই করে দিচ্ছে।
সার্চ ইঞ্জিনের বিকল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে চ্যাটজিপিটি। এখন টুকটাক তথ্য গোছালো আকারে পেতে অনেকেই গুগল ছেড়ে সরাসরি টাইপ করছে চ্যাটজিপিটিতে। তবে এখন পর্যন্ত ২০২১ সালের পরের কোনো তথ্য নেই এর ভান্ডারে।
নিত্য নতুন আইডিয়া বা কনটেন্ট তৈরিতেও চ্যাটজিপিটির জুড়ি নেই। বন্ধুর জন্মদিনে পার্টি থেকে নতুন ব্যবসার আইডিয়াও এটি দিচ্ছে। তবে এটি আগে থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই কাজটি করছে।
গান লেখা ও ব্যবহারকারী দেওয়া গল্পের চিত্রনাট্য তৈরিতেও চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছেন অনেকে। এ কাজের সৃজনশীলতার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও ইউটিউব বা ছোটখাটো প্ল্যাটফর্মের জন্য অনেকেই এটি ব্যবহার করছেন।