
উপকরণ
গরুর মাংস চর্বিহীন দেড় পাউন্ড, ভেড়ার মাংস চর্বিহীন ১ পাউন্ড, মাঝারি হলুদ পেঁয়াজ দেড়টা, রসুন কুচি ৩ কোয়া, ডিম ১টি, লবণ ১ চা চামচ, সুমাক (মধ্য প্রাচ্যের বাজারে বিক্রি হয়) ১ চা চামচ, কালো মরিচ আধা চা চামচ, হলুদ গুড়া আধা চা চামচ।
সবজির গ্রিল করার জন্য: রোমা টমেটো ৪টি, সবুজ ক্যাপসিকাম ১টি চারকোন করে কাটা এবং অলিভ অয়েল গ্রিল করার আগে মাখিয়ে নেওয়ার জন্য।
প্রস্তুত প্রনালী
শিক কবাব করার শিক নিন ১০টি। রান্না ভালো হওয়ার জন্য তাজা মাংস হলে ভালো এবং মাংসটি রুমের তাপমাত্রায় নিয়ে আসুন কিছুক্ষন রেখে। তারপর পেঁয়াজ কেটে ব্লেন্ডারে জুসি করবেন না। এরপর চেপে পেঁয়াজ ছেঁকে জুস ফেলে দিন। তারপর একটি মাঝারি পাত্রে পেঁয়াজসহ গুরুর মাংস, ভেড়ার মাংস, রসুনের কিমা, লবণ, মশলা এবং ডিম যোগ করুন। মিশ্রনটি পেস্টের মতো না হওয়া পর্যন্ত সব উপকরণগুলো মাখাতে থাকুন কায়েক মিনিট। হাত ধুয়ে মিশ্রনটিকে ১০ ভাগে ভাগ করুন। হাতের তালুতে নিয়ে বল বানিয়ে নিন। তারপর শিকে চাপ দিয়ে লাগিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন মাংস যেন শিক থেকে পড়ে না যায়। শিক থেকে আধা ইঞ্চি পুরু হবে কাবাবগুলো। একটি বেকিং শীটে কাবাবগুলো আলতোভাবে রাখুন। খেয়াল রাখবেন শীটের নিচে যেন কাবাব না লাগে। গ্রিলে’র সঙ্গে দুটো চারকোনা মেটাল পাইপ সমান্তরালে উপরে এবং নিচে লাগিয়ে নিন। এটি মাংসকে ঝরঝরে করে দিবে না। গ্রিলের করার জন্য পরিষ্কার কয়লা ব্যবহার করুন। কয়লাগুলোতে ছাই আবরন আসলে কাবাব ভাজা হয়েছে ধরে নিতে পারেন। চারপাশে ঘুরিয়ে পছন্দের রঙ নিয়ে আসুন কাবাবে। পাশাপাশি সবজিগুলো আলাদা গ্রিল করে নিন। সবজির জন্য পাতলা শিক ব্যবহার করা ভালো। মাংসের স্বাদ থেকে সবজি আলাদা রাখুন। সবজি গ্রিল শেষে একটি ফয়েল পেপারে পেচিয়ে রাখুন। আপনি চাইলে আগে সবজি গ্রিল করে নিয়ে পরে কাবাব গ্রিল করতে পারেন। গ্রিল শেষে কাবাবের উপর মাখন ব্রাশ করে নিন। তারপর এর উপর সুমাক ও মাখন ছিটিয়ে দিন। কাবাবগুলো গ্রিল হয়ে গেলে পরিবেশনের আগ পর্যন্ত পয়েল পেপারে রেখে দিন। পার্সিয়ান চালের রুটির সঙ্গে এ কাবাব সুস্বাদু লাগবে। পরিবেশনের সময় কিউব করা পেঁয়াজসহ পরিবেশন করুন।