মহাকাশে মহাবিস্ফোরণ

মহাকাশে  মহাবিস্ফোরণ

মহাকাশে অতিকায় তারকার বিস্ফোরণ মানেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে আতশবাজি ফোটার মতো আনন্দের ব্যাপার। সম্প্রতি সেই আনন্দে রচিত হলো এক মহাকাব্যিক মাইলফলক। তিন বছর আগে মহাকাশে যে অতিকায় বিস্ফোরণ চাক্ষুষ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা, সম্প্রতি প্রমাণ হলো, সেটার বিস্ফোরণের ছটা ছিল সাধারণ সুপারনোভার চেয়েও দশগুণ বেশি। আর মহাকাশে এত বড় বিস্ফোরণ এর আগে ধরা পড়েনি কোনো মানুষের চোখে।

২০২০ সালে ওই বিস্ফোরণ ধরা পড়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার জিউইকি ট্রানসিয়েন্ট ফ্যাসিলিটিতে। তবে তখনো গবেষকরা নিশ্চিত হতে পারেননি এর ঔজ্জ্বল্যের ব্যাপারে। কারণ, ঘটনা যদি কাছাকাছি কোথাও ঘটে তবে একটু বেশি উজ্জ্বল দেখাবে সেটাই স্বাভাবিক। আর দূরের ঘটনা উজ্জ্বল দেখানো মানেই সেটা নিঃসন্দেহে বড়সড় বিস্ফোরণ।

গত বছর ওই বৃহৎ আতশবাজির পেছনে লাগেন ইউনিভার্সিটি অব সাউদ্যাম্পটনের গবেষক ড. ফিলিপ ওয়াইজম্যান। আর তার গবেষণার পরই জানা গেল, বিস্ফোরণটা ঘটেছে পৃথিবী থেকে অন্তত ৮০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।

ওয়াইজম্যান জানালেন, ‘প্রচলিত সুপারনোভার আলো মাস দুয়েক ধরে দৃশ্যমান থাকে। তবে ওই সুপারনোভার আলো ছিল দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে।’

কীভাবে ঘটল এত বড় বিস্ফোরণ? ওয়াইজম্যানের তত্ত্বটা হলো, আমাদের সূর্যের চেয়েও কয়েক হাজারগুণ বেশি পরিমাণ গ্যাসীয় পদার্থ শোষে নিয়েছিল কোনো একটা ব্ল্যাক হোল। এতে করে এর আশপাশের স্পেসে একটি শকওয়েভ ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্ল্যাকহোলটির সীমানায় থাকা চরম উত্তপ্ত বস্তুকণার একটি রিং তৈরি হয়। যা অতিকায় একটা ডোনাটের মতো দেখাবে। মূলত ওই শকওয়েভ ও এর ফলে সৃষ্ট উত্তপ্ত গ্যাসগুলোই সুপারনোভা হিসেবে ধরা পড়েছে পৃথিবীর টেলিস্কোপে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com